রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যেসব খাবার

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যেসব খাবার

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে নজর দিতে হবে সুষম খাবারের দিকে। খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

সবুজ শাক-সবজি
পালংশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, কচুশাক, শজনে শাক, করলা, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, ঢেঁড়স প্রভৃতি সবজি গ্রহণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আমিষ
ডিম, মাছ, ডাল, শিমের বিচি, কুমড়ার বিচি ও বাদামের মতো আমিষজাতীয় খাবারে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল।
মাংসে থাকা কার্নোসিন রক্তকে পরিষ্কার করে এবং ফ্রি রেডিক্যাল ও যেকোনো ধরনের ইনফেকশন থেকে দেহ কোষগুলোকে রক্ষা করে।
 
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডজাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। যেমন—সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম, ডিম, আখরোট, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে।  

প্রোবায়োটিকস
টক দই, ঘোল, ছানা—এগুলো প্রোবায়োটিকস হিসেবে পরিচিত, যা পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

প্রোটিন
দেহের ইমিউনিটি বাড়ায় প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ-মাংস, দুধ, ডিম। এর পাশাপাশি দুই ধরনের ডালমিশ্রিত খিচুড়ি খান নিয়মিত।

গ্রিন টি
গ্রিন টিতে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা দেহের জন্য উপকারী এবং অন্যান্য চায়ের তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাটেচিনের পরিমাণ বেশি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ‘ডি’
ভিটামিন ‘ডি’যুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করে। ক্যালসিয়ামজাতীয় খাবার হলো দুধ, পনির, দই, মাখন, সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম, পালংশাক, ডিম, মুরগির মাংসের হাড়, নিহারি, শুঁটকি মাছ ইত্যাদি

ভিটামিন ‘কে’
ভিটামিন ‘কে’ জাতীয় খাবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাঁদের বেশির ভাগের দেহে ভিটামিন ‘কে’-এর অভাব ছিল। সবুজ শাক-সবজি,  টমেটো, শসা, ফুলকপি, ধনেপাতা, ব্রকোলি, পাতা কপি, শক্ত পনির ইত্যাদিতে ভিটামিন ‘কে’ আছে।
 
মসলা
আদা, গোলমরিচ, পেঁয়াজ, গোলমরিচ ও রসুনের মতো মসলার মধ্যে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ মজুদ রয়েছে। 

পরিহার করুন
কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড ড্রিংকস, অ্যালকোহল, বিড়ি, সিগারেট, তামাক প্রভৃতি থেকে দূরে থাকুন।

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর খাবার  পরবর্তী

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর খাবার 

কমেন্ট