ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া (সিএমএল) হল রক্তকোষ এবং অস্থি মজ্জার ক্যান্সার। অস্থিমজ্জা হল হাড়ের নরম অংশ যেখানে রক্ত কোষের উৎপাদন হয়। এই ধরণের লিউকেমিয়ায় শ্বেত রক্তকণিকার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি দেখা যায়। সিএমএল কেন হয় তা বলা কঠিন। তবে তেজস্ক্রিয়তা এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া রাসায়নিক দূষণ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য কারণও আছে।
আশার কথা, সিএমএল সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে নিরাময়যোগ্যও। সিএমএলের রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলে এবং নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন করলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া ( সিএমএল) দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগ এবং হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, হেমাটোলজি ও বিএমটি ইউনিটের প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমদ, হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমিন লুৎফুল কবির, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ, বৈজ্ঞানিক সম্পাদক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. আবদুল্লাহ আল মোছাব্বির, হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমাইরা নাজনীন সহ অনেকে।
র্যালি শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক এসজিএম চৌধুরী হলে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে তিনজন বিশিষ্ট বক্তা সিএমএল রোগের সর্বশেষ চিকিৎসা, গবেষণার অগ্রগতি, রোগীদের দ্রুত শনাক্তকরণ এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি ও বিএমটি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমদ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের মেম্বার সেক্রেটারি, সহযোগী অধ্যাপক ডা' জাকারিয়া আল আজিজ ,হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক আমীন লুতফুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সিএমএল রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমানো, সবার জন্য সমান চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মূলত: র্যালি ও সেমিনারের মাধ্যমে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
কমেন্ট