দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত (জেনেটিক) জটিল রক্তরোগ যা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বিস্তৃত রোগগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। এর মানে হলো ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। আর মোট রোগী ৭০ থেকে ৮০ হাজার। বাহক ও রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। 

অথচ রক্তের রোগ থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধযোগ্য। থ্যালাসেমিয়ার বাহকেরা কিন্তু রোগী নয়, তাদের কোনো উপসর্গ থাকে না; তাই তাদের কোনো চিকিৎসা বা খাদ্যতালিকাগত সীমাবদ্ধতারও প্রয়োজন নেই। তবে অন্য বাহককে বিয়ে না করার মাধ্যমে এই রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। এজন্য বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলে নতুন প্রজন্মকে এই জটিল রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এ ব্যাপারে দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে র‍্যালির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম বেলুন উড়িয়ে র‌্যালির উদ্বোধন করেন যা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ শেষে বহির্বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।

র‌্যালিটি পরিচালনা করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ। সমাপনী বক্তব্যে অংশ নেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমীন লুৎফুল কবীর, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহাম্মদ প্রমূখ। 

এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট উইং) ড. শাহ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য অধিশাখা) ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমীন লুৎফুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ সহ দেশের খ্যাতনামা হেমাটোলজিস্টগণ।

বক্তারা থ্যালাসেমিয়ার ভয়াবহতা, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর এর প্রভাব এবং রোগ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা চিকিৎসা উপকরণের সহজলভ্যতা ও বাহক নির্ণয়ের জন্য দেশব্যাপী স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তারা বলেন, হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ ভবিষ্যতেও থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

 

‘অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রোগীর জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের ক্ষমতায়ন জরুরী’ পরবর্তী

‘অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রোগীর জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের ক্ষমতায়ন জরুরী’

কমেন্ট