অ্যাজমা একটি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগ, যা নিয়মিত ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব হওয়া, অসঙ্গতিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলার ব্যর্থতার কারণে এই রোগ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে চলেছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করে, অ্যাজমার চিকিৎসায় রোগী ও পরিবারে সচেতনতা তৈরি, নিয়মিত ও সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করা, চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ এবং ট্রিগারগুলো (যেমন ধুলাবালি, ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস) এড়ানো দরকার। এছাড়াও রোগীর জীবনমান উন্নত করার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের ক্ষমতায়নও জরুরী।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ব অ্যাজমা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা ব্যবস্থাপনায় অসুবিধাসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ প্যানেলে উপস্থিত থেকে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানের চেয়ারপারসন ছিলেন রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. রৌশনি জাহান। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জিয়াউল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পপুলার মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজে অফ ফিজিশিয়ান্সের বাংলাদেশের ফেডারেশন লিড অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল, এনআইডিসিএইচ-এর সহকারী অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিনের কোর্স কোঅর্ডিনেটর ডা. গোলাম সারওয়ার লিয়াকত হোসেন ভূঁইয়া, এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রত্নদীপ চাষ্কার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের জন্য অ্যাজমা একটি অন্যতম প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বংশগত কারণের চেয়ে পরিবেশগত কারণেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মূলত শিশু ও বয়স্করাই অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা চাই, অ্যাজমা নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা দূর করে সবাইকে সঠিক বার্তা দিতে, যাতে কোনো রোগী অযথা কষ্ট না পায়।
কমেন্ট